Tuesday 22nd of October 2024

বঙ্গবন্ধুর হত্যায় যারা জড়িত ছিলো তাদের বের করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

Morning Mirror Desk »

Share if you like

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা একদিন ঠিকই আবিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবন থেকে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যেন কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তবে আমার অবাক লাগে যে, এর সঙ্গে আমাদের যারা তারা কি করে জড়িত থাকল? হত্যার বিচার করেছি। তবে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা সেটা এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে সেটা একদিন না একদিন আবিষ্কার হবে এটা ঠিক।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার একটাই কাজ, প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করা আর সব থেকে বড় কাজ হল দেশটাকে নিয়ে, মানুষগুলোকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যেই স্বপ্ন দেখেছিলেন, দেশের মানুষের উন্নয়ন করা, সেই উন্নয়ন করাকে আমি সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। “তাই পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে, কি করেছে সেদিকে আমি না গিয়ে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এই ক্ষুধার্ত, দরিদ্র মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের জীবনমান উন্নত করা।”

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ধাপে ধাপে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেন কিন্তু পাকিস্তানী শাসক চক্র বা এ দেশেরও কিছু পাকিস্তানী দালাল চক্র বা তাদের খোশামোদী, তোষামোদীকারী, পদলেহনকারী কিছু গোষ্ঠী বাঙালির এই অভ্যুদ্যয় বা বিজয়কে কখনও মেনে নিতে পারেনি।”

তিনি বলেন, “দুঃখজনক হল, নিজের দলের ভেতরে খন্দকার মুশতাক যেমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল আবার অনেকেরই তাদের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল। আর এই ঘটনা ঘটাতে হলে সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্যকে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ পর্যায়ে যদি তাদের পক্ষে কেউ না থাকে এটা কখনও সম্ভব ছিল না।

“আর উচ্চ পর্যায়ে তাদের সঙ্গে কে ছিল সেটা তো ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কর্নেল ফারুক ও রশীদ বিবিসিতে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিল সেই সাক্ষাৎকারেই তারা বলেছিল যে, জিয়াউর রহমান যে উপসামরিক প্রধান ছিল,

তার সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল, সম্পর্ক ছিল এবং সফল হতে পারলে সে তাদের পাশে থাকবে এই কথাও দিয়েছিল এবং সব রকম সহযোগিতাও করেছিল। কাজেই মুশতাক-জিয়ার যেই সখ্যতা এবং তাদের যে এই কাজের সাথে সম্পূর্ণ সম্পৃক্ততা এটা তো স্পষ্ট।”

জাতির পিতাকে হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের পর দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

Write Your Comment Here

Comments are closed.